বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন অব্যাহত ছিল। আমরা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলকে "মাঝারি মাত্রার ডোভিশ বা নমনীয়" এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ফলাফলকে "মাঝারিমাত্রার হকিশ বা কঠোর" বলে বিবেচনা করছি। সহজ কথায়, অ্যান্ড্রু বেইলি উল্লেখ করেছেন যে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড মুদ্রানীতির নমনীয়করণ অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত, অন্যদিকে জেরোম পাওয়েল বলেছেন যে ফেড ডিসেম্বর মাসে সুদের হার হ্রাসে বিরতি দিতে পারে। এটি মার্কিন ডলারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রাখার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।
সম্প্রতি, পাউন্ড একটি সীমিত রেঞ্জের মধ্যে ট্রেড করছে, এবং এটির মূল্যের মুভমেন্টকে "সুইং" হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। একইসঙ্গে, এই সুইংগুলোকে একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে, যা নির্দেশ করে যে ইতোমধ্যে পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন হয়েছে। পাওয়েল ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল উপর গুরুত্বারোপ করেননি বা শ্রম বাজারের দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা করেননি। উভয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকই তাদের সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
বৃহস্পতিবার ৫-মিনিটের টাইম ফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল হয়েছিল, তবে তিনটির মধ্যে দুটি সিগন্যাল উভয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণার ঠিক আগে তৈরি হয়েছিল। তাই, 1.2913 লেভেলের কাছাকাছি গঠিত প্রথম বাই সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করাই যুক্তিযুক্ত ছিল। এই সিগন্যালের পরে, মূল্য কাঙ্খিত দিকেই মাত্র ২০ পিপস এগিয়ে গিয়েছিল, তাই ট্রেডটি স্টপ লসের মাধ্যমে ব্রেক-ইভেনে ক্লোজ হয়ে যায়।
শুক্রবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইম ফ্রেমে, এক মাসের দীর্ঘ নিম্নমুখী প্রবণতার পর GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা কেবল 1.2860 এবং 1.3043 এর মধ্যে একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে কিছু মুভমেন্ট দেখেছি। আমরা মধ্যমেয়াদে পাউন্ডের আরও দরপতনের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করছি, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল। স্বল্পমেয়াদে আবারও পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন করার চেষ্টা করা হতে পারে, তবে এর জন্য মৌলিক পটভূমি থেকে সমর্থন প্রয়োজন, যদিও পাউন্ড ফেড বা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল থেকে কোন সমর্থন পায়নি।
শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা পুনরায় এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার আশা করতে পারে, এবং 1.2980-1.2993 এর কাছাকাছি ট্রেডিং করার সুযোগ খুঁজে পেতে পারে, উল্লেখ্য যে বৃহস্পতিবার পাউন্ডের মূল্য এই রেঞ্জ ব্রেক করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
৫-মিনিটের টাইম ফ্রেমে, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365 লেভেলে ট্রেড করা যেতে পারে। শুক্রবারে যুক্তরাজ্যে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে। দুপুরের শেষ দিকে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা সামান্য বাড়তে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।